পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন পাঁচটি স্থান
পৃথিবীর মানুষ বড় কৌতুহলী।
পুরো বিশ্বের গোপন রহস্যকে সে ভেদ করতে চায়।
কিন্তু পৃথিবীর সব গোপনীয়তা আর রহস্যকে কি ভেদ করা সম্ভব? উত্তর হচ্ছে অবশ্যই না।
পৃথিবীতে এমন কিছু স্থান রয়েছে যা এখনও মানুষের কাছে রহস্যময়।
এমন পাঁচটি স্থানের কথাই তুলে ধরছি -
১।
এরিয়া ৫১: এটি একটি বিতর্কিত সামরিক ঘাটি।
এ স্থানটি যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণে অবস্থিত।
দুর্ভেদ্যে প্রাচীরে ঘেরা এ ঘাটির প্রবেশ পথে লেখা আছে, “বিনা অনুমতিতে প্রবেশকারীকে প্রয়োজনে গুলি করা হবে”।
আজ পর্যন্ত সাধারণ মানুষদের কেউ দাবি করেননি, তিনি এই এরিয়া ৫১- এ ঢুকেছেন।
অনেকে একে পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন স্থান বলে অভিহিত করেন।
তবে এ স্থানটিকে এতটা বিতর্কিত ও রহস্যময় করে তোলার জন্য এর আশোপাশের লোকজনকেই দায়ী করা হয়।
তাদের দাবি, তারা অনেকেই নাকি এরিয়া ৫১- এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মত কিছু একটা উড়তে দেখেছেন।
আবার অনেকেই নাকি অদ্ভূত দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন।
দু’এক বছর আগে এরিয়া ৫১- এ কর্মরত একজন পদার্থবিজ্ঞানী এক টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সেখানে এমন কিছু পদার্থ নিয়ে গবেষণা করা হয়, যা আবিস্কারের ঘোষনা এখনও দেয়া হয়নি।
তবে বব লেজার নামে ঐ বিজ্ঞানী সবচেয়ে বিস্ময়কর যে তথ্য দেন তা হচ্ছে যে- সেখানে নাকি এলিয়েনদের নিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি ফ্লাইং সসার আছে।
রহস্যময় প্রাণীটি নাকি রেটিকুলাম-৪ নামক জ্যোতিস্ক থেকে এসেছে।
সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার প্রানীটি লোমহীন, বড় বড় কালো চোখ ও হৃদপিন্ডের বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে।
অনেকে আবার বলে থাকেন চাঁদে যাওয়ার ঘটনা এখানেই নাকি সাজানো হয়েছে।
এরিয়া ৫১ নিয়ে এত বিতর্কের পরও আমেরিকান সরকার এ ব্যাপারে কিছু বলেনি আজ পর্যন্ত।
আর এর ফলে মানুষের সন্দেহ কমার বদলে বেড়েই চলেছে।
২।
আইস গ্রান্ড সিন: আইস গ্রান্ড সিন জাপানের সবচেয়ে রহস্যময়, গোপনীয়, পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ইতিহাসবিদদের মতে, এটি নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে।
জাপানের রাজ পরিবার আর ধর্মযাজক ছাড়া আর কারোরই সেখানে প্রবেশ করার অধিকার নেই, এমনকি আজ পর্যন্ত এদের ব্যতীত কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি।
এই সিনটি প্রতি বিশ বছর পর পর ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়া হয়।
গবেষকদের মতে, প্রাচীনকালের জ্যাপানিজ সাম্রাজ্যের বহু পুরোনো ও মূল্যবান এমনসব নথিপত্র এ স্থানে গোপনে রাখা আছে যা পৃথিবীর মানুষের কাছে কখনোই প্রকাশ করা হয়নি।
৩।
ভ্যাটিকান সিটি: হাজার হাজার বছর ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর মানুষের কাছে এক রহস্যময় স্থান হিসেবে পরিচিত।
এ স্থানটিকে বলা হয়, “গোপনীয়তার এক ভান্ডার” পৃথিবীর খুব কম ব্যক্তিই রয়েছেন, যারা এ স্থানের ভেতর ডুকেছেন।
এখানে যে-ই ঢুকুক না কেন তাকে পোপের বিশেষ অনুমতি নিতে হয়।
এটি পৃথিবীর একমাত্র দেশ সেই দেশ যখন ইচ্ছে নিজেদের দেশে ঢুকবার দরজা বন্ধ করে দিতে পারে।
পুরোপুরিভাবে ইতালির রাজধানী রোমের অভ্যন্তরে অবস্থিত এ দেশে প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর ঢোকার রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এখানে প্রায় ৮৪ হাজার দুষ্প্রাপ্য বই সংরক্ষিত আছে।
মানুষের ধারণা খ্রিষ্টান মিশনারি, প্যাগনসহ আরো অনেক ধর্ম ও মতবাদের অসংখ্য নথিপত্র এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
৪।
মস্কো মেট্রো টু: মস্কো মেট্রো টু-র অবস্থান রাশিয়ায়।
এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ শহর।
তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এর কোন অস্থিত্ব স্বীকার করা হয়নি।
শাসক স্তালিনের সময়কালে এটি নির্মিত হয়েছিল।
এটি একটি সম্পূর্ণ শহর।
অথচ মানুষ এখনো এখানে যাওয়া তো দূরের কথা, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানে না।
৫।
ক্লাব ৩৩, ডিজনিল্যান্ড: সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ডিজনিল্যান্ড একটি বিনোদন স্থান হিসেবে খুবই পরিচিত।
তবে এরও রয়েছে এক বিরাট রহস্য।
এর পুরো স্থানটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত কেবল ক্লাব ৩৩ ছাড়া।
কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এ স্থানে যাতায়াতের জন্য।
স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা।
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আজ যদি কেউ আবেদন করেন, তবে এই ক্লাবটির সদস্য হতেই তার ১৪ বছর সময় লেগে যাবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment and give me Suggest any time any way in my comment box or email address.