Tuesday, September 24, 2019

নালিশ করতে থানায় হাজির একদল হনুমান!




সত্যিই হনুমানের দল নাকি থানায় এসেছে নালিশ করার জন্য! এও কি সম্ভব? কিন্তু ঘটনাটি আসলেও সত্যি। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে আমাদের দেশেই যশোরের কেশবপুর থানায়!

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, মারধরের নাশিল করতেই নাকি থানায় চলে আসে হনুমানের একটি দল। বাচ্চা কোলে নিয়ে একদল কালো মুখ হনুমান যশোরের কেশবপুর থানায় অবস্থান নেয়। গত রববিার দুপুরে ঘটে এমন একটি ঘটনা। যশোরের কেশবপুরে বিরল প্রজাতির কালো মুখ হনুমানের দল থানার প্রধান ফটকে অবস্থান গ্রহণ করে। এই সময় পুলিশ সদস্যরা হনুমানদের খাবার পরিবেশন করে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। 

এই হনুমানের দলটি এক পর্যায়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষেও ঢুকে পড়ে। থানা চত্বরে এবং অফিস কক্ষে তাদের লাফ-ঝাঁপে পুলিশ সদস্যরা অনেকটা হতচকিত হয়ে পড়েন। পরে তাদের অতি যত্নে খাবার খাইয়ে শান্ত করার চেষ্টাও করা হয়। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘একটি মা হনুমান কোলে বাচ্চা নিয়ে প্রথমে থানায় হাজির হয়। ওই বাচ্চাটিকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তারপর পরই প্রায় ২০ হতে ২৫টি হনুমান দলবদ্ধভাবে থানার প্রধান ফটকের সামনে এবং ডিউটি অফিসারের কক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। কিছু শুকনো খাবার দিলে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর হনুমানের দল আবার চলে যায়’। 

হামলাকারীদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন বলেও হনুমানদের আশ্বস্ত করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এর কিছুক্ষণ পরেই তারা থানা এলাকা ত্যাগ করেন। 

কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম হোসেন জানিয়েছেন, শহর এবং এর আশেপাশের এলাকাতে ৫ শতাধিক হনুমান রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৩৫ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম এবং ২ কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়ে থাকে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম। খাবার না পেয়ে হনুমান মানুষের বসতবাড়ি এবং অফিসেও অনেক সময় ঢুকে পড়ে। তাছাড়া হনুমান হলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রাণী। তাদের উপর কেও হামলা করলে তারা দলবদ্ধভাবে এভাবেই প্রতিবাদ জানায়। হয়তো এই ক্ষেত্রেও এমন কিছু ঘটেছে। তাদের উপর নিশ্চয়ই কোনো হামলা হয়েছে যে কারণে তারা থানায় এসে হাজির হয়েছে। ইতিপূর্বে এই রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেন ওই বন কর্মকর্তা।