Sunday, June 26, 2016

কেন খাবেন রসুন!


রসুন পেঁয়াজ গোত্রের একটি খাদ্য। রসুন শুধু যে রান্নার কাজে লাগে তা নয়। বিভিন্ন রোগ দূরে রাখাসহ আরো বহু উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে রসুনে। চলুন জেনে নেয়া যাক রসুনের কয়েকটি উপকারিতা-
১. প্রতিদিন রসুনের একটি বা দুটি করে কোয়া খেলে তা স্বাস্থ্যকর হার্ট ও লিভার দেয়। এটি বিপাক ক্রিয়া সুষম করে।
২. যেকোনো বয়সে সর্দি-কাশির জন্য উপকারী রসুন। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস কফ এবং সাধারণ সর্দির জন্য বিশেষ উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণায়।
৩. রসুনে প্রদাহজনিত যন্ত্রণা কমানোর উপাদান রয়েছে। তাই কোথাও পুড়ে কালশিটে পড়লে বা কেটে গেলে যন্ত্রণা শুরু হলে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে দিন। দেখবেন যন্ত্রণা বেশ কমে এসেছে।
৪. ত্বকের যে সব স্থানে চুলকানি হয়েছে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে দিন। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলকানি দূর করে দেবে।
৫. আপনার ত্বকে যদি একটু রসুন ঘষে দেন, তবে আপনাকে নয় পাশের জনকে মশা কামড়াবে। এর গন্ধ মশার জন্য একটু বেশি তীব্র যা সে সহ্য করতে পারে না।
৬. বাড়িতে বা আশপাশের বাজে কীট-পতঙ্গ দূর করতে বাড়িতেই ওষুধ বানাতে পারেন। যেকোনো দোকান থেকে তরল সাবান কিনুন। একটি গামলায় পানি গরম দিয়ে তাতে দুই মুঠো রসুন ছেড়ে দিন। বেশ কিছুক্ষণ গরম করে স্প্রে-বোতলে করে রসুনমিশ্রিত পানি নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ লিকুইড সাবান দিন। এবার স্প্রে করুন।
৭. একটি স্প্রে বোতল সাদা ভিনেগার দিয়ে পূরণ করুন। এতে তিন-চারটি রসুনের কোয়া কেটে দিন। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা কাজের যেকোনো টেবিল বা আববাবের উপরিতলে স্প্রে করুন এবং মুছে ফেলুন। জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে।

তথ্যসূত্র :>>>>> https://www.facebook.com/kobiraji100/

সিফিলিস রোগের লক্ষণ, কারণ, প্রতিকার এবং কার্যকর চিকিৎসা

 সিফিলিস হল একধরনের যৌণ-বাহিত সঙ্ক্রমন এর মূলে আছে একধরনের ব্যাক্টেরিয়া যার নাম হল Treponema pallidum। সিফিলিস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষের সংক্রমন হয় সেক্স করবার সময়। যদি কারও সিফিলিস ফুশকুড়ি থাকে তবে তার সাথে শারিরিক স্পরশ হলেও সিফিলিস হতে পারে। রক্ত আদান-প্রদান এর মাধ্যমেও সিফিলিস হতে পারে। একজন গর্ভবতী মহিলার সন্তানও সিফিলিস এ আংক্রান্ত হতে পারে। একে বলা হয় জন্মগত সিফিলিস।
যেভাবে ছড়ায় :-
  • আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনিরাপদ যৌনমিলনে 
  • রোগাক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত শরীরে গ্রহন করলে
  • আক্রান্ত মা যে শিশুর জন্ম দেয় যেই শিশু
  • আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনেকক্ষণ শারীরিক সংস্পর্শে থাকলে
  • আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে অনেকক্ষণ চুমু খেলে
  • আক্রান্ত মায়ের দুধ পান করলে মনে রাখবেন, এই রোগ কখনই খাওয়ার পাত্র, চামচ, গামছা বা টাওয়েল, ন্যাপকিন, সুইমিং পুল, বাথটাব, কিংবা ব্যবহৃত জামাকাপড় দিয়ে ছড়ায় না।
রোগের সুপ্তিকাল :-
নয় থেকে নব্বই দিন পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ জীবাণু দেহে প্রবেশে পর রোগের প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিতে উপরেলি্লখিত সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে সাধারণত ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেয়।

সিফিলিসের শ্রেণীবিভাগ এবং লক্ষণ :-
সিফিলিসকে মূলত দুভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন-জন্মগত অর্থাৎ আক্রান্ত মায়ের থেকে গর্ভাবস্থায় শিশুটি যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় তবে সেটাই হলো জন্মগত। আর অন্যটি হলো অর্জিত অর্থাৎ জন্মের সময় যে সিফিলিস রোগে আক্রান্ত ছিল না কিন্তু পরবর্তী সময় যে কোনোভাবে সে যদি এ রোগে আক্রান্ত হয়, তবে সেটাই হলো অর্জিত সিফিলিস। অর্জিত সিফিলিসকে আবার চারটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন প্রাথমিক সিফিলিস, সুপ্ত সিফিলিস ও তৃতীয় স্তর বা প্রান্তিক সিফিলিস।
প্রাথমিক সিফিলিস :-
প্রাথমিক সিফিলিসে যে ক্ষত পাওয়া যায় তাকে বলা হয় হান্টারের ক্ষত। কালজয়ী চিকিৎসক হান্টার এ ভয়াবহ জীবাণু স্বেচ্ছায় নিজ দেহে উপ্ত করে এ রোগের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন। ফলে তার নামেই এ ক্ষতের নাম করা হয় ইন্টারের ক্ষত, যা এ প্রাথমিক স্তরে ছোট গুটিকা বা কুড়ি আকারের সৃষ্টি হয়। এ ক্ষত সাধারণত যৌনাঙ্গের মুখে এবং পায়ুপথে দেখা যায় এবং সংখ্যায় সাধারণত একটি এবং বেদনামুক্ত হয়। যা থেকে প্রথম অবস্থায় রস বের হতে থাকে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ক্ষত শুকিয়ে যায় বা যেতে পারে তবে তা পুনরায় দেখা দিতে পারে। ক্ষত শুকিয়ে যাওয়া মানে কিন্তু জীবাণুমুক্ত হওয়া নয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে এ ক্ষত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞাত থেকে যায় কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ক্ষত ব্যথামুক্ত হওয়ার কারণে যৌনের ক্ষত অনেক ক্ষেত্রেই অজানা থেকে যায়।
দ্বিতীয় স্তর বা মাধ্যমিক সিফিলিস :-
প্রাথমিক ক্ষত শুরু হওয়ার ৬-১.২ সপ্তাহ পরে সিফিলিসের দ্বিতীয় স্তর শুরু হয়। এ সময় ত্বকের ফুসকুড়ি যা তিলকার দাগ আকারে দেখা যায়। যা হাত ও পায়ের তালুতে নির্দিষ্টভাবে দেখা যায় এবং তাতে কোন চুলকানি থাকে না। পায়ু পার্শ্বস্থ এলাকায় বর্তুলাকার ক্ষত দেখা যায় যা অত্যন্ত সংক্রামক। এই স্তরে শরীরের বিভিন্ন লথিকা গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে কিন্তু তা বেদনায়দক থাকে না। শতকরা ৩০ ভাগ ক্ষেত্রে মেরুসজ্জা রসে পরিবর্তন এবং মস্তিস্ক আবরণীতে প্রদান দেখা দিতে পারে।
সুপ্ত সিফিলিস :-
সুপ্ত অবস্থায় এ রোগ ২ থেকে শুরু করে ৩০ বছর পর্যন্ত এমনকি সারাজীবন তা সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। আর এ অবস্থার সৃষ্টি তখনই হয় যখন এ রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা না হয়। যেহেতু এ অবস্থায় কোন উপসর্গ থাকে না কাজেই রক্ত পরীক্ষা ছাড়া তা বোঝার কোন উপায় নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আকস্মিক রক্তে পরীক্ষায় এর ধরা পড়ে।
তৃতীয় স্তর বা প্রাম্ভিক সিফিলিস :-
৫-১৫ বছর পর অচিকিৎসিত সিফলিসের মধ্যে থেকে চলি্লশ শতাংশ প্রাম্ভিক সিফলিস হিসেবে দেখা দেয়।
রোগের জটিলতা কি কি :-
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বলে ৩০ শতাংশ মেয়াদি সিফিলিস প্রাকৃতিভাবেই ভালো হয়ে যায়। তবে মেয়াদি সুপ্ত অবস্থায় তা জীবনব্যাপী থাকতে পারে যার সংখ্যাও মোটামুটিভাবে ৩০ শতাংশে রকম নয়। এর বাইরেও ১৫ শতাংশ গামা হিসেবে দেখা দেয় অর্থাৎ এক্ষত্রে রক্তনালী তথা ধমনীতে প্রদান এবং বদ্ধতা সর্বোপরি কোষ মৃত্যু দেখা দেয় যার ফলে স্থানটি ফুলে ওঠে সেটাই হলো গামা। এর বাইরও অত্যন্ত গুরুত্ববপূর্ণ জটিলতা যেমন হৃদযন্ত্রের সিফিলিস (১২.৫%) যার থেকে হৃদযন্ত্রের ও মস্তিস্কের নানান সমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকতে পারে।

প্রতিরোধ করবেন কিভাবে :-
  • যৌন সঙ্গীর সিফিলিস আছে কিনা নিশ্চিত হন।
  • সিফিলিস থাকলে অবশ্যই, জোর করে হলেও চিকিৎসা করান।
  • সিফিলিস আক্রান্তদের সাথে কোন ধরনের যৌন কারযক্রমে যাবেন না। কনডম ব্যাবহার করেও না।
  • কমার্শিয়াল সেক্স ওয়ার্কার দের কাছে যাবেন না।
  • রোগীকে ঘৃণা করবেন না, রোগকে ঘৃণা করুন।
  • এই রোগ কোনক্রমেই পুষে রাখবেন না।
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাবেন না।
কি কি চিকিৎসা রয়েছে :-
এই রোগটি এতই ভয়ঙ্কর যে চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে মারাত্মক পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। আর এ রোগটি এমনই যে মানুষ এর কথা গোপন করেই রাখতে চায়। আর এর বেশি ভুক্তভোগী হয় মেয়েরা। কারন তারাই বেশি রোগ গোপন করে রাখতে পছন্দ করে। এ রোগর চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথরা বেশ কিছু ঔষুধ ব্যাবহার করেন তার মধ্যে উল্লেকযোগ্য : Penicillin G injection, Ceftriaxone, Doxycyclin, Azithromycin.

হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান :-
সিফিলিস চিকিত্সায় হোমিওপ্যাথিতেও রয়েছে সবচেয়ে কার্যকর এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ঔষুধ যেগুলো রোগটির যাবতীয় যন্ত্রনাদায়ক সব উপসর্গগুলো নির্মূল করে খুব দ্রুত আরোগ্যের দিকে নিয়ে যায়। হোমিওপ্যাথি যেহেতু রোগের রুট লেভেল থেকে কাজ করে তাই যে কোন রোগ একবার ভালো হওয়ার পর তা আর পূনরায় দেখা দেয় না। ভুল করেও রোগ নিয়ে বসে থাকবেন না। সিফিলিসে আক্রান্ত হলে কোন প্রকার সংকোচ না করে ভাল একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন। দেখবেন অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আপনি আবার স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন উপভোগ করতে পারছেন। ভাল থাকবেন। আপনাদের সুখী এবং সুন্দর জীবনই আমার কাম্য।
********   তথ্যসূত্র:     ********

নারীদের যৌন অনীহার কারণ, লক্ষন, প্রতিকার ও হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা

নারীদেরও কি 'যৌন দুর্বলতা' হয়ে থাকে ? হ্যাঁ, যৌন আকাঙ্খা কম থাকাকেই নারীদের ক্ষেত্রে "ফিমেল সেক্সুয়াল এ্যরুসাল ডিজওর্ডার" বা যৌন দুর্বলতা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই এটা খুবই ক্ষনস্থায়ী ব্যাপার। তাই হয়ত আমাদের সমাজের পুরুষদের মত যৌন দুর্বলতার সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে নারীদের যেতে ততটা দেখা যায় না। 
অনেক নারী আপনা থেকেই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। কন্তু যারা পারেন না তাদের অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ এর পেছনে হয়ত অন্য কোন কারণও থাকতে পারে। তবে এই যৌন অনীহার বিষয়টি  পুরুষের ক্ষেত্রে বিরল কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে সচরাচর। নারীর যৌন অনীহা শাররীক কিংবা মনস্তাস্তিক উভয় কিংবা যেকোন একটি কারনে হতে পারে।
নারীর যৌন অনীহার শারীরিক কারনগুলি :-
  • ডায়াবেটিস জাতীয় রোগ দেখা যায়। 
  • রক্ত স্বল্পতা, যা নারীদের মাসিক ঋজচক্রকালীন রক্তে আয়রনের হার হ্রাস পাওয়া থেকে প্রকট হয়। 
  • মাদাকাসক্তি
  • মদ্যপানে আসক্তি
  • কিছু অ্যালোপ্যাথি ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া
  • Hyperprolactinaemia – পিটুহিটারী গ্রন্থির অতিরিক্ত ক্রিয়াশীলতায় এ সমস্যা দেখা দেয়। 
  • সন্তান প্রসব। সন্তান প্রসবের পরবর্তী কিছু সময়কাল নারীর যৌন আকঙ্খা সম্পুর্ন হারিয়ে যায়। এটি শরীরে হরমোনাল পরিবর্তনের সাথে প্রায় সরাসরি জড়িত। বেশির ভাগ নারী সন্তান জন্মদেবার পর মানসিক ভাবে অনেকটা বিক্ষিপ্ত থাকেন তাই তারা শাররীক মিলন নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ পাননা। 
নারীর যৌন অনীহার মনস্তাস্তিক কারনগুলি :-
  • উদ্বিগ্নতা
  • অবসাদ 
  • বিষন্নতা 
  • শিশুসুলভ মনোভাবের পুর্নজন্ম। 
  • স্বামীর সাথে প্রচন্ড মানসিক বিবাধ থাকা। 
  • দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া; যখন নারী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে তখন এ্যডরিনাল (মুত্র) গ্রন্থি ইষ্ট্রোজেন এবং টেষ্ট্রোষ্টিরন হরমোন সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ইষ্ট্রোজেন এবং টেষ্ট্রোষ্টিরন হরমোনই নারী শরীরে যৌন আকাঙ্খা উৎপন্ন করে। 
  • পুর্বের ধর্ষণ কিংবা যন্ত্রনাদায়ক শারীরিক সম্পর্কের শিকার হওয়া। 
নারীদের যৌন অনীহায় করনীয় :-
যৌনকামে আপনার অনীহার কারন কি সেটা যদি আপনি অনুধাবন করতে না পারেন  তাহলে কাল বিলম্ব না করে ভালো একজন হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন। কিছুক্ষেত্রে ডায়াগোনোসিস এর প্রয়োজনও পড়তে পারে। কারণ এর পিছনে হয়ত অন্য আরো কোন কারণ থাকতে পারে যেটা আপনার হোমিওপ্যাথ বুঝবেন এবং আপনাকে যথাযথ সমাধান দিবেন।
********   তথ্যসূত্র:    *********

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করবেন কিভাবে ?

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করবেন কিভাবে ?
নারী এবং পুরুষ উভয়ই কখনো কখনো মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। যদিও নারীদের ক্ষেত্রেই বিষয়টি বেশি দেখা যায়। কপালে বা গালে, ঠোঁটের উপরে বাড়তি লোম সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দেয়। সব সাজগোজ, ত্বকের যত্ন সবই বৃথা হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। আজকাল অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট আছে ত্বক থেকে এই লোম দূর করার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগই বেশ কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই এসব সাত-পাঁচ ভেবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম নিয়েই থাকেন এবং মনকষ্টে ভোগেন।
মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। পুরোটাই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কষ্টদায়ক হওয়ার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মুখের লোম উঠা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভালো এই উপায় গুলো। তাহলে জেনে নিন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ ঘরোয়া কিছু উপায়।
চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব :-
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। মুখের লোম দূর করা ও লোমের ঘনত্ব কমাতে লেবুর রসের জুড়ি নেই। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ পানি। প্রথমে সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণ মুখের ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধোয়ার সময় ভালোভাবে ঘষে তুলুন। এতে লোম দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এভাবে করুন। দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।
ময়দা ও দই এর প্যাক :-
ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে এবং ওঠার পরিমাণ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো। একটি বাটিতে এই সব উপাদান নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা না হয়। থকথকে ঘন হলে ভালো কাজে দেবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে ও থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো মতো ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হবে।
কফি স্ক্রাব :-
কফির স্ক্রাব সব চাইতে বেশী কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমের হাত থেকে রক্ষা পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীরে ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে খানিকক্ষণ ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। 
সফল হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা :-
মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সফল চিকিত্সা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। তাই যারা উপরে বর্ণিত দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিগুলি পালন করতে কষ্ট বোধ করেন তাদের জন্য ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। আমরা বেশ কয়েক জন মহিলা পেসেন্টকে প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট দিয়ে ফেসিয়াল হেয়ার প্রবলেম থেকে মুক্ত করেছি। অর্থাৎ এর সফল এবং যথাযথ চিকিত্সা নিতে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিত্সা। খুব তাড়াতাড়ি মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এ বিষয়ে দৃঢ আশা রাখি। তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফ(পরিমার্জিত)
********   তথ্যসূত্র:     ********