বিশ্বের বর্তমান সপ্তম আশ্চর্য
পৃথিবীর ৭টি বস্তু সপ্তম আশ্চর্যরূপে চিহ্নিত হয়েছে, এগুলো হলো-
১. ভারতের তাজমহল: ১৬৪৮ সালে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতি রক্ষার্থে তাজমহল নির্মাণ করেন।
এটি ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আগ্রায় অবস্থিত।
প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ পর্যটক তাজমহল দেখতে যান।
২. চীনের মহাপ্রাচীর: দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ স্থাপত্য।
এটি প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।
ইউনেস্কো ১৯৮৬ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
৩. পেত্রা নগরীর ধ্বংসাবশেষ: ইউনেস্কোর বিশ্ব- ঐতিহ্যের নিদর্শনের অন্যতম এ স্থানটি জর্ডানের রাজধানী আম্মানের ২০০ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত।
ওয়াদি মুসা বা মুসা উপত্যকায় এ নগরীটি নির্মাণ করা হয়।
এখানে সুদৃশ্য মন্দির এবং পাথরের সমাধিক্ষেত্র আছে।
এটি ছিল আরবের যাযাবর নেবাতাইয়ান গোষ্টীর রাজধানী।
দু’হাজার বছরের আগে তারা এখানে বসতি স্থাপন করে।
এরপর এ স্থানটি রেশম, মসলা ও অন্যান্য দ্রব্যের বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়।
এ স্থান থেকে চীন, ভারত, মিসর, লিবিয়াসহ আরবের দক্ষিণাংশ এবং গ্রিস ও রোমের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনা করা হত।
৪. স্ট্যাচু অব ক্রাইস্ট দ্যা রিডিমার: এ মুর্তিটি বর্তমানে সমগ্র ব্রাজিলের প্রতীক।
করকোভাডো মালভূমিতে ৭১০ মিটার উচ্চতায় এ মূর্তিটি অবস্থিত।
৭৫ বছর আগে এটি উদ্বোধন করা হয়।
এর নির্মাণ সময় লাগে পাঁচ বছর।
মূর্তির কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি রাস্তা ও রেললাইন তৈরী করা হয়।
প্রতি বছর ১৮ লক্ষ পর্যটক মূর্তিটি দেখতে যান।
৫. মাচু পিচু: পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ২৪০০ মিটার উঁচুতে অবস্থান ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ মাচু পিচুর।
চতুর্দশ শতকের প্রথম দিকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
প্রাচীন কাল থেকেই এটিকে পবিত্র স্থান হিসেবে দেখা হয়।
এখানে অনেক মন্দির, প্রাসাদ, গোসলখানা, গুদামঘর ও বাড়ি আছে।
মার্কিন প্রতœতত্ত্ববিদ হিরাম বিং-হাম ১৯১১ সালে এ ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করেন।
৬. চিচেন ইৎজা: আনুমানিক ৫০০ সালে এ নগরীটি নির্মিত হয়।
মায়া ও টলটেক শিল্পের সমন্বয়ে মেক্সিকোর ইয়ুটাকান উপদ্বীপে এ নগরীটি গড়ে উঠে।
এতে একটি প্লাটফর্মের উপর চারটি আলাদা ভাগের প্রতিটিতে ৯১টি করে ৩৬৪টি সিঁড়ি আছে।
প্লাটফর্ম ধরলে সংখ্যাটি ৩৬৫ হয়, যা বছরের ৩৬৫ দিনের প্রতিনিধিত্ব করে।
এটি একটি পিরামিডের পাশে অবস্থিত।
৭. রোমের কোলাসিয়াম: প্রায় দু’হাজার বছর আগে রোমান সা¤্রাজ্যের সময় এটি তৈরী করা হয়।
জুকুডিয়ায় রোমের জয়লাভ এবং জেরুজালেমের মন্দির লুট করে পাওয়া অর্থ দিয়ে এ কলোসিয়ামটি তৈরী করা হয়। এটি রোমের প্রধান নাট্যশালা ও রোম নগরীর প্রতীক।
তথ্যসূত্র: চিলড্রেন নলেজ ব্যাংক
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment and give me Suggest any time any way in my comment box or email address.