Remove the background

Remove the background
Remove the background from your image for free with adobe express

Tuesday, August 19, 2025

Canon Laser Shot LBP-1210 Printer Driver Download (LBP1210 Printer Driver)

Canon Laser Shot LBP-1210 Driver Download for Windows XP, Vista, Windows 7, 8, 8.1, 10, 11, Server 2000 to 2016 32bit, Linux and Mac OS.

Wednesday, July 30, 2025

FREE AI Online Watermark Remover with WatermarkRemover.io

WatermarkRemover.io is an AI-powered tool that lets you quickly eliminate watermarks instantly.


Wednesday, July 23, 2025

AI Photo Enhancer

 

Enhance Image Quality Automatically with Pica AI

Experience the magic of AI photo enhancement. See the difference our image enhancer can make to your images!




Sunday, July 13, 2025

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক/যাচাইয়ের করার নিয়ম


আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটছে কিন্তু তাদের টিকিট বুকিং হয়েছে কিনা জানেন না। তাই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক করার নিয়ম জানুন।

আপনি চাইলে এখন ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন।

অনেক সময় দেখা যায় আপনি অনলাইন থেকে টিকিট কিনছেন কিন্তু একই সিট দুই জনের নামে বুকিং হয়েছে। তাই টিকিট কেনার পরে অবশ্যই চেক বা ভেরিফাই করে নিতে হবে।

আপনি যখন নিজের প্রোফাইল থেকে টিকিট কিনবেন তখন সেটা আর চেক করা লাগবে না। তবে যখন অন্য কারও দ্বারা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই চেক করে নিবেন।

প্রথমে এই https://eticket.railway.gov.bd লিংকে ক্লিক করবেন তারপর Login এ ক্লিক করে আপনার মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট এ ঢুকতে হবে।


তারপর উপরে লক্ষ করুন Verify Ticket লিখা আছে সেখানে ক্লিক করুন এবং ট্রেনের টিকেটে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর এবং টিকেটের উপরের অংশে থাকা PNR Number লিখুন। এবার নিচের থাকা Verify Ticket অপশনে ক্লিক করলে Ticket Verified দেখতে পাবেন এবং আপনার ভ্রমণ রুট দেখাবে ঠিক নীচের ইমেজ এর মতো।


এই নিয়মগুলির আরও বিস্তারিত জানতে >>>>>ই-সেবা বিডি এর পেজ এ ঘুরে আসতে পারেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং বা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম



অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। নাম, ইমেইল এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করুন।

জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে প্রোফাইল আপডেট করুন।

আপনার যাত্রার স্টেশন ও গন্তব্য অনুযায়ী নিদিষ্ট তারিখের ট্রেন সার্চ করুন। ট্রেনের আসন নির্বাচন করে অনলাইনে পেমেন্ট করে ট্রেনের টিকিট বুকিং করুন।

eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।


ধাপ ১ : একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করুন
আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে এই ওয়েবসাইট eticket.railway.gov.bd ভিজিট করুন।

রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আপনার Full Name, E-mail, Mobile Number, Password, NID / Birth Certificate Number, Post Code এবং Address লিখে Sign Up অপশনে ক্লিক করে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করুন।

ধাপ ২ : মোবাইল ভেরিফাই করুন
আপনার মোবাইল নম্বরে ৬ ডিজিটের ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। উক্ত কোড নম্বর দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করে নিবেন।

উক্ত ভেরিফিকেশন কোডটি লিখে নিচে থাকা Continue অপশনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

ধাপ ৩ : একাউন্টে লগইন করুন
একাউন্ট ভেরিফাই করার পরে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে প্রোফাইল লগইন হয়ে যাবে।

যদি লগইন না হয় তাহলে এখন এবং ভবিষ্যতে ট্রেনের টিকিট বুকিং করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে উপরে ডানপাশে Login অপশনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। আপনার প্রোফাইলের সকল তথ্য গুলো আপডেট করুন।

ধাপ ৪ : টিকিট বুকিং করার জন্য ট্রেন সার্চ করুন
আপনি কোন স্টেশন থেকে যাত্রা করবেন আর কোন স্টেশনে যাত্রা শেষ করবেন সেই অনুযায়ী ট্রেন সার্চ করুন।From : আপনি যে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করতে চান সেই জায়গায় নাম লিখুন।

To : আপনি যে স্টেশনে যাত্রা শেষ করবেন সেই স্টেশনের নাম লিখুন।
Date of Journey : যে তারিখে যাত্রা করবেন সেই তারিখ সিলেক্ট করুন।
Choose Class : আপনি যে ধরনের সিট নিতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।
শেষে Find Ticket অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫ : ট্রেন ও সিট সিলেক্ট করুন
এখানে যে তারিখে আপনি যাত্রা করতে চান উক্ত তারিখের সকল ট্রেন গুলো দেখানো হবে। পছন্দের ট্রেন সিলেক্ট করে Book Now অপশনে ক্লিক করে সিট সিলেক্ট করুন।

সবুজ রঙের সিট গুলো ফাঁকা আছে। সেখান থেকে পছন্দের সিট সিলেক্ট করুন। আর লাল রঙের সিট গুলো বুকিং করা হয়ে গেছে।

View Seats অপশনে ক্লিক করে সিট বুকিং করুন। শিশুদের টিকেটের মূল্য পরের অপশনে সমন্বয় করা হবে। তারপর Continue Purchase অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৬ : ট্রেনের যাত্রীর তথ্য লিখুন
আপনি যে সিট গুলো বুকিং করছেন, সেই যাত্রীদের নাম এবং যাত্রীগণ শিশু নাকি বয়স্ক সিলেক্ট করুন। যাত্রীর বয়স ৩ বছর থেকে ১২ বছর হলে শিশু থাকলে Passenger Type Child সিলেক্ট করুন।

ধাপ ৭ : টিকিটের মূল্য পরিশোধ করুন
টিকিটে মোট ভাড়ার পরিমাণ, ভ্যাট, সার্ভিস চার্জ মিলে টোটাল ভাড়ার পরিমাণ দেখানো হবে। টিকেটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বা ডেভিড/ক্রেডিট কার্ড অপশন থেকে যেকোনো একটি সিলেক্ট করে মূল্য পরিশোধ করুন।

ধাপ ৮ : ট্রেনের টিকিট প্রিন্ট করুন
মূল্য পরিশোধ করার পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই টিকিট সিস্টেম থেকে আপনার টিকিট ইস্যু করা হবে। আপনার ইমেইল নম্বরে টিকিটের একটি কপি পাঠানো হবে। ইমেইলের Inbox এ না পাওয়া গেলে Spam Folder চেক করুন।

তাছাড়া আপনি স্বয়ংক্রিয় ভাবে ব্রাউজার থেকে উক্ত টিকিট সংগ্রহ করে সংগ্রহ করে টিকিটটি A4 কাগজে প্রিন্ট করে নিবেন।

এই নিয়মগুলির আরও বিস্তারিত জানতে >>>>>ই-সেবা বিডি এর পেজ এ ঘুরে আসতে পারেন।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক করার নিয়ম জানতে এখানে ক্লিক করুন

Monday, May 19, 2025

Remove the background from your image for free with adobe express

Remove the background from your image for free
Easily remove the background from images in Adobe Express, the quick and easy create-anything app. Continue editing your image in Adobe Express to quickly change the background, add graphics, and more.

Tuesday, April 22, 2025

সুরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ অর্থসহ (Surah Yaseen/Sura Yasin with Bengali meaning)


সুরা ইয়াসিন কোরআনের ৩৬ তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ৮৩ এবং রুকু ৫টি। হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর নবুয়ত লাভের প্রথম দিকে এবং হিজরতের বহু আগে মক্কায় এই সুরা ইয়াসিন অবতীর্ণ হয়েছে।

এই সুরা থেকে পবিত্র কোরআনের বিশালত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা পায় যায়।

সুরা ইয়াসিনের ফজিলত

সুরা ইয়াসিনের ফজিলত, গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। এই সুরার মহাত্ম্য সম্পর্কে রাসুল (সা.) অসংখ্য হাদিসে বলেছেন। নিচে কিছু ফজিলত দেওয়া হলো-
সুরা ইয়াসিন কোরআনের হৃদয়

হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন-

সব কিছুর মধ্যেই একটি হৃদয় আছে; কোরআনের হৃদয় হল সুরা ইয়াসিন।

[তাফসির-আল-সাবুনী খণ্ড ২]
এই হাদিসটি আমাদের দেখায় যে সুরা ইয়াসিন কতটা তাৎপর্যপূর্ণ । কারণ হার্ট আমাদের শরিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, পুরো কার্যকারিতা হার্টের ওপর নির্ভর করে। একইভাবে, সুরা ইয়াসিন কোরআনের হৃদয় এবং প্রতিটি মুসলমানের জন্য এটি পড়া এবং বোঝা অপরিহার্য।

সুরা ইয়াসিন চমৎকার পুরস্কার লাভের মাধ্যম :

পবিত্র কোরআনের একটি শব্দ পড়লে আল্লাহর ১০টি নিয়ামত পাওয়া যাবে। সুরা ইয়াসিন পড়ার সময় একজন ব্যক্তি ১০ বার কোরআন পড়ার সওয়াব পাবেন। যেমন আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন :

যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন পাঠ করে, আল্লাহ তাকে পুরো কোরআন পড়ার সমান সওয়াব দান করেন। (তিরমিজি ২৮১২)

সুরা ইয়াসিন গুনাহ মাফের মাধ্যম :

আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন :-

যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য রাতে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। (ইবনে হিব্বান, দারিমি ৩২৮৩-এ)

আপনি যদি মহান আল্লাহর কাছে আপনার গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে চান তাহলে প্রতিদিন সুরা ইয়াসিন পড়ুন আল্লাহ অবশ্যই আপনার গুনাহ মাফ করবেন।
সুরা ইয়াসিন মৃত্যু-কষ্ট লাঘবের মাধ্যম :

হজরত আবু যর (রা:) বলেন, রাসুল সা. বলেছেন,

“মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সুরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি)”

তাছাড়া আরো একটি হাদিস আছে,

যারা মৃত্যুবরণ করছে তাদের ওপর ইয়াসিন পাঠ কর। -সানান আবি দাউদ

হযরত মা’কিল ইবনে ইয়াসার ( রা. ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

সুরা ইয়াসিন তোমাদের মুমুর্ষু ব্যক্তিদের নিকট পাঠ করো। -( আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, মুসনাদে আহমাদ)

ইমাম আহমাদ (র.) বলেছেন- আমাদের প্রবীণরা বলতেন,

মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট সুরা ইয়াসিন পাঠ করা হলে আল্লাহ তাঁর কষ্ট লাঘব করে দেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা- ১৫৪ )

হাদিস থেকে প্রতীয়মাণ হয়, সুরা ইয়াসিন মৃত ব্যক্তির নিকট পাঠ করা বাঞ্ছনীয়। একজন মানুষ যে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তার আধ্যাত্মিক সাহায্য এবং সান্ত্বনা দরকার সফল জগতের সহজে যাওয়ার জন্য।

তাই এই সময়ে যদি কোরআনের হৃদয় তেলাওয়াত করা হয়, এটি যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়ায় শান্তি ও আরাম আনে।

সুরা ইয়াসিন চাহিদা পূরণের মাধ্যম

মানুষ মাত্রই অবস্থান অনুযায়ী নানা ধরনের অভাব-অনটনে বা হাজত থাকে। শুধু পরিশ্রম করে কিংবা অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে অভাব-অনটন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। পরিশ্রমকারি বা অর্থ উপার্জনকারির ওপর আল্লাহর বিশেষ রহমত থাকতে হয়।

সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত-বরকত আসে। সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করলে মনের হাজত বা মনের আশা পূর্ণ হয়।

হজরত আতা বিন আবি রাবাহ (রা.) বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন,

‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত পূর্ণ করা হবে।’ (সুনানে দারেমি : ৩৪৬১)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা. বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি অভাব-অনটনের সময় সুরা ইয়াসিন পাঠ করে, তাহলে তার অভাব দুর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি)

“ইয়াহইয়া ইবনে কাসির বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে (মাজহারি)।”


সব ধরনের ভয় দূর করে

মানুষের মনে নানা ধরনের ভয় থাকে। প্রতিদিন এই সুরা পাঠ করলে আপনার সমস্ত ভয় দূর হয়।

আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) বলেন :-

এবং আমি কোরআনকে বোঝার জন্য এবং স্মরণ রাখার জন্য সহজ করে দিয়েছি, তাহলে উপদেশ গ্রহণকারি কেউ আছে কি? (৫৪:১৭)

এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, কোরআনের যে কোনো সুরা মুখস্থ করা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। আর সুরা ইয়াসিনা কোরআনের সবচেয়ে সহজ সুরাগুলির মধ্যে একটি । এটি খুব দীর্ঘ নয়, আয়াতগুলি উপলব্ধি করা এবং মুখস্থ করা তুলনামূলকভাবে সহজ।

বাকিটা নির্ভর করে আপনি কতটা অনুপ্রাণিত এবং কতটা প্রচেষ্টা করতে ইচ্ছুক তার ওপর। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে বলতে পারি এই সুরাটি মুখস্থ করতে ৫-১০ দিন সময় লাগতে পারে।

সুরা ইয়াসিন আল্লাহর চূড়ান্ত ও সর্বোচ্চ ক্ষমতা বর্ণনা করে। নিয়মিতি সুরা ইয়াসিন, সুরা মূলক, আয়াতুল কুরসি ইত্যাদি তিলাওয়াত করুন, এটি আপনার ওপর মহান আল্লাহর নিয়ামত দান করবে। এটি আপনার বিশ্বাসকেও মজবুত করে এবং আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ককে দৃঢ় করে।

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

অর্থ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

يس

উচ্চারণ : ইয়াসিন

অর্থ : ইয়া-সিন (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১)

وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ

উচ্চারণ : ওয়াল কোরআনিল হাকিম।

অর্থ : প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২)

إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ

উচ্চারণ : ইন্নাকা লামিনাল মুরসালিন।

অর্থ : নিশ্চয়ই আপনি প্রেরিত রাসুলগণের একজন। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩)

عَلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ

উচ্চারণ : আলা সিরাতিম মুসতাকিম।

অর্থ : সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪)

تَنزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : তানজিলাল ‘আজিজির রাহিম।

অর্থ : কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ, (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫)

لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ

উচ্চারণ : লিতুনজিরা কাওমাম্মাউনজিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলুন।

অর্থ : যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব-পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬)

لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

উচ্চারণ : লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকসারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনুন।

অর্থ : তাদের অধিকাংশের জন্য শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭)

إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلاَلاً فَهِيَ إِلَى الأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ

উচ্চারণ : ইন্না- যা‘আলনা-ফি আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আজকা-নি ফাহুম মুকমাহুন।

অর্থ : আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮)

وَجَعَلْنَا مِن بَيْنِ أَيْدِيهِمْ سَدًّا وَمِنْ خَلْفِهِمْ سَدًّا فَأَغْشَيْنَاهُمْ فَهُمْ لاَ يُبْصِرُونَ

উচ্চারণ : ওয়া যা‘আল না-মিম বাইনি আইদিহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরুন।

অর্থ : আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদের আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:৯)

وَسَوَاء عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ

উচ্চারণ : ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনজিরহুম লা-ইউ’মিনুন।

অর্থ : আপনি তাদের সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১০)

إِنَّمَا تُنذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّكْرَ وَخَشِيَ الرَّحْمَن بِالْغَيْبِ فَبَشِّرْهُ بِمَغْفِرَةٍ وَأَجْرٍ كَرِيمٍ

উচ্চারণ : ইন্নামা-তুনজিরু মানিত্তাবা‘আজজিরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারিম।

অর্থ : আপনি কেবল তাদেরই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদের সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১১)

إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ

উচ্চারণ : ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামুওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফিইমা-মিম মুবিন।

অর্থ : আমিই মৃতদের জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১২)

وَاضْرِبْ لَهُم مَّثَلاً أَصْحَابَ الْقَرْيَةِ إِذْ جَاءهَا الْمُرْسَلُونَ

উচ্চারণ : ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ ; ইযযাআহাল মুরছালুন।

অর্থ : আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসিদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসুল আগমন করেছিলেন। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৩)

إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُم مُّرْسَلُونَ

উচ্চারণ : ইজ আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাজযাবুহুমা-ফা‘আজঝাজনা-বিছা-লিছিন ফাকালুইন্নাইলাউকুম মুরছালুন।

অর্থ : আমি তাদের নিকট দুজন রাসুল প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর ওরা তাদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদের শক্তিশালি করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৪)

قَالُوا مَا أَنتُمْ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَمَا أَنزَلَ الرَّحْمن مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلاَّ تَكْذِبُونَ

উচ্চারণ : কা-লুমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকজিবুন।

অর্থ : তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান কিছুই নাজিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৫)

قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ

উচ্চারণ : কা-লুরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালুন।

অর্থ : রাসুলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার যানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৬)

وَمَا عَلَيْنَا إِلاَّ الْبَلاَغُ الْمُبِينُ

উচ্চার : ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালাগুল মুবিন।

অর্থ : পরিষ্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৭)

قَالُوا إِنَّا تَطَيَّرْنَا بِكُمْ لَئِن لَّمْ تَنتَهُوا لَنَرْجُمَنَّكُمْ وَلَيَمَسَّنَّكُم مِّنَّا عَذَابٌ أَلِيمٌ

উচ্চারণ : কা-লুইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহুলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আজ-বুন আলিম।

অর্থ : তারা বলল, আমরা তোমাদের অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদের প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৮)

قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِن ذُكِّرْتُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُونَ

উচ্চারণ : কা-লুতাইরুকুম মা‘আকুম আইন জুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফুন।

অর্থ : রাসুলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কী এজন্য, আমরা তোমাদের সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুত- তোমরা সিমালংঘনকারি সম্প্রদায় বৈ নও। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:১৯)

وَجَاء مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ

উচ্চারণ : ওয়াযাআ মিন আকসাল মাদিনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালিন।

অর্থ : অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এলো। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রাসুলগণের অনুসরণ করো। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২০)

اتَّبِعُوا مَن لاَّ يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُم مُّهْتَدُونَ

উচ্চারণ : ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদুন।

অর্থ : অনুসরণ করো তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোনো বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২১)

وَمَا لِي لاَ أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

উচ্চারণ : ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাজি ফাতারানি ওয়া ইলাইহি তুর যা‘উন

অর্থ : আমার কী হলো, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না? (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২২)

أَأَتَّخِذُ مِن دُونِهِ آلِهَةً إِن يُرِدْنِ الرَّحْمَن بِضُرٍّ لاَّ تُغْنِ عَنِّي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا وَلاَ يُنقِذُونِ

উচ্চারণ : আআত্তাখিজুমিন দুনিহিআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নি শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিজুন।

অর্থ : আমি কী তাঁর পরিবর্তে অন্যদের উপাস্যরুপে গ্রহণ করব? করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনোই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৩)

إِنِّي إِذًا لَّفِي ضَلاَلٍ مُّبِينٍ

উচ্চারণ : ইন্নি ইযাল্লাফি দালা-লিম্মুবিন। লা-লিম্ মুবিন।

অর্থ : এরুপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৪)

إِنِّي آمَنتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ

উচ্চারণ : ইন্নিআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।

অর্থ : আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও। (সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৫)

قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ

উচ্চারণ : কিলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমি ইয়া‘লামুন।

অর্থ : তাকে বলা হলো, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে যানতে পারত- [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৬ ]

بِمَا غَفَرَ لِي رَبِّي وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُكْرَمِينَ

উচ্চারণ : বিমাগাফিরলি রাববি ওয়া যা‘আলানি মিনাল মুকরামিন।

অর্থ : যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৭ ]

وَمَا أَنزَلْنَا عَلَى قَوْمِهِ مِن بَعْدِهِ مِنْ جُندٍ مِّنَ السَّمَاء وَمَا كُنَّا مُنزِلِينَ

উচ্চারণ : ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহি মিম বা‘দিহি মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনজিলিন।স্ সামা-য়ি অমা- কুন্না-মুন্যিলিন্।

অর্থ : তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের ওপর আকাশ থেকে কোনো বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারিও না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৮ ]

إِن كَانَتْ إِلاَّ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ

উচ্চারণ : ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদুন।

অর্থ : বস্তুত- এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:২৯ ]

يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلاَّ كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُون

উচ্চারণ : ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তিহিম মির রাসুলিন ইল্লা-কা-নুবিহি ইয়াছতাহজিউন।

অর্থ : বান্দাদের জন্য আক্ষেপ, তাদের কাছে এমন কোন রাসুলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩০ ]

أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنْ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لاَ يَرْجِعُونَ

উচ্চারণ : আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরুনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন।

অর্থ : তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩১ ]

وَإِن كُلٌّ لَّمَّا جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ

উচ্চারণ : ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-যামি‘উল লাদাইনা-মুহদারুন।

অর্থ : ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩২ ]

وَآيَةٌ لَّهُمُ الْأَرْضُ الْمَيْتَةُ أَحْيَيْنَاهَا وَأَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُونَ

উচ্চারণ : ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলুন।

অর্থ : তাদের জন্য একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৩ ]

وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنْ الْعُيُونِ

উচ্চারণ : ওয়া যা‘আল না-ফিহা-জান্না-তিম মিন নাখিলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফিহামিনাল ‘উইঊন।

অর্থ : আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৪ ]

لِيَأْكُلُوا مِن ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ

উচ্চারণ : লিয়াকুলু মিন্ ছামারিহি অমা ‘আমিলাত্হু আইদিহিম্; আফালা-ইয়াশ্কুরুন্।

অর্থ : যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৫ ]

سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ

উচ্চারণ : ছুবহা-নাল্লাজি খালাকাল আঝাওয়া-যা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামুন।

অর্থ : পবিত্র তিনি যিনি জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা যানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৬ ]

وَآيَةٌ لَّهُمْ اللَّيْلُ نَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَإِذَا هُم مُّظْلِمُونَ

উচ্চারণ : ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমুন।

অর্থ : তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৭ ]

وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ

উচ্চারণ : ওয়াশশামছুতাজরি লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদিরুল ‘আজিজিল ‘আলিম।

অর্থ : সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালি, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৮ ]

وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ

উচ্চারণ : ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদিম।

অর্থ : চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনজিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরুপ হয়ে যায়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৩৯ ]

لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

উচ্চারণ : লাশশামছুইয়ামবাগি লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফি ফালাকিইঁ ইয়াছবাহুন।

অর্থ : সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪০ ]

وَآيَةٌ لَّهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ

উচ্চারণ : ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহুন।

অর্থ : তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪১ ]

وَخَلَقْنَا لَهُم مِّن مِّثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ

উচ্চারণ : ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহি মা ইয়ারকাবুন।

অর্থ : এবং তাদের জন্য নৌকার অনুরুপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪২ ]

وَإِن نَّشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنقَذُونَ

উচ্চারণ : ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারিখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাজুন।

অর্থ : আমি ইচ্ছা করলে তাদের নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৩ ]

إِلَّا رَحْمَةً مِّنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ

উচ্চারণ : ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হিন।

অর্থ : কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদের কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৪ ]

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّقُوا مَا بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَمَا خَلْفَكُمْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

উচ্চারণ : ওয়া ইযা-কিলা লাহুমুত্তাকু মা- বাইনা আইদিকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামুন।

অর্থ : আর যখন তাদের বলা হয়, তোমরা সামনের ও পেছনের কে ভয় করো, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৫ ]

وَمَا تَأْتِيهِم مِّنْ آيَةٍ مِّنْ آيَاتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ

উচ্চারণ : ওয়ামা-তা’তিহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নু‘আনহা-মু‘রিদিন।

অর্থ : যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলির মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৬ ]

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ أَنفِقُوا مِمَّا رَزَقَكُمْ اللَّهُ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنُطْعِمُ مَن لَّوْ يَشَاء اللَّهُ أَطْعَمَهُ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

উচ্চারণ : ওয়া ইযা-কিলা লাহুম আনফিকুমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাজিনা কাফারু লিল্লাজিনা আমানু আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহু ইন আনতুম ইল্লা-ফি দালা-লিম মুবিন।

অর্থ : যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহ তোমাদের যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করো। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৭ ]

وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ

উচ্চারণ : ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকিন।

অর্থ : তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বলো এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৮ ]

مَا يَنظُرُونَ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً تَأْخُذُهُمْ وَهُمْ يَخِصِّمُونَ

উচ্চারন : মা-ইয়ানজু রুনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুজুহুম ইয়াখিসসিমুন।

অর্থ : তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদের আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৪৯ ]

فَلَا يَسْتَطِيعُونَ تَوْصِيَةً وَلَا إِلَى أَهْلِهِمْ يَرْجِعُونَ

উচ্চারণ : ফালা-ইয়াছতাতি‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন।হিম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।

অর্থ : তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫০ ]

وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُم مِّنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنسِلُونَ

উচ্চারণ : ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলুন।লুন্।

অর্থ : শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫১ ]

قَالُوا يَا وَيْلَنَا مَن بَعَثَنَا مِن مَّرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ

উচ্চারণ : কা-লুইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালুন।

অর্থ : তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উদিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রাসুলগণ সত্য বলেছিলেন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫২ ]

إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ جَمِيعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُونَ

উচ্চারণ : ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম যামি‘উল লাদাইনা-মুহদারুন।

অর্থ : এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৩ ]

فَالْيَوْمَ لَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَلَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

উচ্চারণ : ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালুন।

অর্থ : আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৪ ]

إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ

উচ্চারণ : ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফি শুগুলিন ফা-কিহুন।

অর্থ : এদিন জান্নাতিরা আনন্দে মশগুল থাকবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৫ ]

هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِؤُونَ

উচ্চারণ : হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফি জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।

অর্থ : তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৬ ]

لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ

উচ্চারণ : লাহুম ফিহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন।

অর্থ : সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফল-মুল এবং যা চাইবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৭ ]

سَلَامٌ قَوْلًا مِن رَّبٍّ رَّحِيمٍ

উচ্চারণ : ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহিম।

অর্থ : করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৮ ]

وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ

উচ্চারণ : ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমুন।

অর্থ : হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৫৯ ]

أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

উচ্চারণ : আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানিআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহুলাকুম ‘আদুওউম মুবিন।

অর্থ : হে বনি-আদম! আমি কি তোমাদের বলে রাখিনি, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬০ ]

وَأَنْ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ

উচ্চারণ : ওয়া আনি‘বুদু নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকিম।

অর্থ : এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬১ ]

وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنكُمْ جِبِلًّا كَثِيراً أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ

উচ্চারণ : ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছিরা- আফালাম তাকুনুতা‘কিলুন।

অর্থ : শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬২ ]

هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ

উচ্চারণ : হা-জিহি জাহান্নামুল্লাতি কুনতুম তু‘আদুন।

অর্থ : এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদের দেয়া হতো। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৩ ]

اصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ

উচ্চারণ : ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরুন।ক্ফুরুন্।

অর্থ : তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ করো। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৪ ]

الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ

উচ্চারণ : আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদিহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নুইয়াকছিবুন।

অর্থ : আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৫ ]

وَلَوْ نَشَاء لَطَمَسْنَا عَلَى أَعْيُنِهِمْ فَاسْتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَأَنَّى يُبْصِرُونَ

উচ্চারণ : ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরুন।

অর্থ : আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত! [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৬ ]

وَلَوْ نَشَاء لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ

উচ্চারণ : ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন।

অর্থ : আমি ইচ্ছা করলে তাদের স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৭ ]

وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ

উচ্চারণ : ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলুন।

অর্থ : আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৮ ]

وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ

উচ্চারণ : ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগি লাহু ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কোরআ-নুম মুবিন।

অর্থ : আমি রাসুলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ ]

لِيُنذِرَ مَن كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ

উচ্চারণ : লিইউনজিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরিন।

অর্থ : যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭০ ]

أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ

উচ্চারণ : আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদিনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকুন।

অর্থ : তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরি বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭১ ]

وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ

উচ্চারণ : ওয়া জাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকুবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলুন।

অর্থ : আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭২ ]

وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ

উচ্চারণ : ওয়া লাহুম ফিহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরুন।

অর্থ : তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৩ ]

وَاتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنصَرُونَ

উচ্চারণ : ওয়াত্তাখাজুমিন দুনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারুন।

অর্থ : তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৪ ]

لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُندٌ مُّحْضَرُونَ

উচ্চারণ : লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারুন।

অর্থ : অথচ এসব উপাস্য তাদের সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রুপে ধৃত হয়ে আসবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৫ ]

فَلَا يَحْزُنكَ قَوْلُهُمْ إِنَّا نَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ

উচ্চারণ : ফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম; ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররুনা ওয়ামা-ইউ‘লিনুন।

অর্থ : অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৬ ]

أَوَلَمْ يَرَ الْإِنسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ

উচ্চারণ : আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসিমুম মুবিন।

অর্থ : মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৭ ]

وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَنَسِيَ خَلْقَهُ قَالَ مَنْ يُحْيِي الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيمٌ

উচ্চারণ : ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহু কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইযা-মা ওয়া হিয়া রামিম।

অর্থ : সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৮ ]

قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِي أَنشَأَهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ

উচ্চারণ : কুল ইউহয়ী হাল্লাজি আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলিমু।

অর্থ : বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৭৯]

الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ

উচ্চারণ : আল্লাজি জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইজা-আনতুম মিনহু তুকিদুন।

অর্থ : যিনি তোমাদের জন্য সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮০ ]

أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَى أَنْ يَخْلُقَ مِثْلَهُم بَلَى وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণ : আওয়া লাইছাল্লাজি খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলিম।

অর্থ : যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮১ ]

إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ

উচ্চারণ : ইন্নামাআমরুহু ইজাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকুলা লাহুকুন ফাইয়াকুন।

অর্থ : তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, `হও’ তখনই তা হয়ে যায়। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮২ ]

فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

উচ্চারণ : ফাছুবহা-নাল্লাজি বিয়াদিহি মালাকুতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।

অর্থ : অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [ সুরা ইয়াসিন ৩৬:৮৩ ]  

এখান থেকে সংগৃহীত>>>>

Saturday, April 19, 2025

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে মেসার্স-ট্রেডার্স লেখার কারণ কী

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে মেসার্স-ট্রেডার্স লেখার কারণ কী: বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামের আগে প্রায়  ‘মেসার্স’, পরে ‘ট্রেডার্স’, ‘ব্রাদার্স’ ও ‘এন্টারপ্রাইজ’ শব্দগুলো চোখে পড়ে। যেমন, ‘মেসার্স শরিফুল কোং’, ‘জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স’,  ‘মামা- ভাগ্নে এন্টারপ্রাইজ’,  ‘মেসার্স শরিফুল ট্রেডার্স’ প্রভৃতি। কিন্তু শব্দগুলোর ব্যবহার কেন করা হয়, আপনি কি জানেন? শব্দগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জানা না থাকায় বেশিরভাগক্ষেত্রেই এর ভুল প্রয়োগ চোখে পড়ে। চলুন জেনে নেই মেসার্স, ট্রেডার্স, এন্টারপ্রাইজ শব্দের অর্থ ও এগুলোর সঠিক ব্যবহারবিধি। মেসার্স শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ মসিয়ার ( Monsieur) থেকে। এর অর্থ হচ্ছে জনাব, মহোদয়। আর মসিয়ারের বহুবচন মেইসিয়ারস, যার সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মেসার্স (Messrs)। এক্ষেত্রে মেসার্স শব্দের অর্থ হচ্ছে সর্বজনাব, ভদ্রমহোদয়গণ। তবে ইংরেজি মিস্টার শব্দের বহুবচন হচ্ছে মেসার্স। ফলে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি একের অধিক ব্যক্তি মালিকাধীন হয়, তবে তার আগে মেসার্স লেখা যায়। যেমন ‘মেসার্স রবিন অ্যান্ড কোং’। কিন্তু যদি প্রতিষ্ঠানটিতে একাধিক ব্যক্তির সংযোগ না থাকে, তবে ‘মেসার্স’ শব্দটির  ভুল প্রয়োগ ঘটে। যেমন,  ‘মেসার্স রুবিনা ট্রেডার্স’, ‘মেসার্স রফিকুল অ্যান্ড কোং’। ইংরেজি trade শব্দের অর্থ ব্যবসা। আর trade থেকে এসেছে trader। যার অর্থ ব্যবসায়ী। এই trader বহুবচন হলো traders (ট্রেডার্স)। এর অর্থ ব্যবসায়ীরা। মূলত ট্রেডার্স বলতে একাধিক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান বোঝায়। যারা নিজেরা ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য  ক্রয়-বিক্রয় করে। কিন্তু তারা যদি নিজেরা পণ্য উৎপাদন করে বিক্রি করে, তাহলে ট্রেডার্স হবে না।  আবার একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হলে ট্রেডার্স শব্দটির ভুল প্রয়োগ ঘটবে। যেমন, কাজল ট্রেডার্স। তেমনই ইংরেজি ‘এন্টারপ্রাইজ’ শব্দের অর্থ উদ্যোগ। কোনো ব্যবসায় সংগঠন চালানো ও ঝুঁকি নেওয়াকে ‘এন্টারপ্রাইজ’ বলে। প্রকৃতপক্ষে ‘এন্টারপ্রাইজ’ এক ধরনের উচ্চাভিলাষী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যেমন: ‘হক এন্টারপ্রাইজ’। আবার  ‘ব্রাদার্স’-এর অর্থ পেশা বা সমিতিভুক্ত ব্যক্তিবর্গ। যেমন: মেসার্স আফজাল অ্যান্ড ব্রাদার্স। এখানে একের অধিক বোঝাতে মেসার্স ব্যবহৃত হয়েছে এবং ব্রাদার্স বলতে একই সমিতিভুক্ত বা পেশাভুক্ত বোঝানো হয়েছে।

এই <<< লিংক >>> থেকে সংগৃহীত

Monday, March 10, 2025

কম বয়সেই চুলে পাক ধরছে? যা করলে মিলতে পারে সমাধান

 


বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলে পাক ধরা অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে যেকোনো বয়সেই চুলে পাক ধরে যেতে পারে। হজমের গোলমাল, চুলের অযত্ন, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে চুলে পাক ধরতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার বংশগত কারণেও পাক ধরে চুলে।

চুল পাকলেই তা কালো করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন অনেকেই। বাজারচলতি নানা প্রসাধনী থেকে শুরু করে চুলের রং ফেরাতে চেষ্টার কমতি রাখেন না অনেকেই। তবে এই ধরনের প্রসাধনীতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে। ফলে চুলের ক্ষতি হয়। ঘরোয়া উপায়ে কিন্তু চুল কালো করা যেতে পারে।

লিকার চা : চায়ের লিকারের মতো প্রাকৃতিক কন্ডিশনার খুব কমই আছে। এক কাপ পানিতে চা ফেলে তা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। এই লিকার চা চুলে ঢেলে কয়েক মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। পরপর কয়েক সপ্তাহ এটি মেনে চললে ধীরে ধীরে রং ফিরে আসবে চুলে।

আমলকি : চুলের যত্নে আমলকি কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। নারকেল তেলে কাঁচা আমলকি ফেলে সেই তেল ফুটিয়ে নিন। এতে আমলকির রস তেলে মিশে যায়। এছাড়া আমলকি থেঁতো করেও দিতে পারেন নারকেল তেলে। তেল ঠাণ্ডা হয়ে এলে চুলে মেখে নিন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক দিনের ব্যবহারে চুল কালো হবে।

নারকেল তেল-লেবুর রস : দুই টেবিল চামচ নারকেল তেলে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ চুলের কালো রং ফেরাতে বেশ উপকারী। রাতে ঘুমোনোর আগে মাথার ত্বকে ভালো করে এই তেল মালিশ করে নিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। তিন-চার সপ্তাহ ব্যবহার করলে চুলে কালো রং ফিরতে বাধ্য।

Friday, February 7, 2025

HDD vs SSD (HDD এবং SSD এর মধ্যে পার্থক্য কি কি)

আমাদের রেগুলার কাজের পিসির সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন একটা অংশ হলো এর স্টোরেজ। ভালো একটা স্টোরেজ ছাড়া আমাদের কোন প্রকার কাজ করাই আসলে সম্ভব নাহ। নানা ধরনের ডাটা, ফাইল কিংবা অন্যান্য ডকুমেন্টস স্টোর করে রাখতে হলে আমাদের যে স্টোরেজ প্রয়োজন সেটার চাহিদা যুগ যুগ ধরে পুরন করে আসছে HDD বা হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ।

কিন্তু এখন এসেছে পরিবর্তন, হার্ডডিস্ক ছাড়া ও পিসির স্টোরেজের জন্য এসেছে আরো নানা অপশন। এর মধ্যে অন্যতম একটা হচ্ছে SSD বা সলিড স্টেট ড্রাইভ।

তো, আমাদের আজকের পোস্টের টপিক হচ্ছে HDD এবং SSD এর মধ্যে পার্থক্য কি কি এবং কোনটি কি কাজ করে, সেটা ভালো ভাবে পর্যালোচনা করা। আশা করছি এই পোস্ট পড়ার পরে এই দুই ধরনের স্টোরেজ নিয়ে আপনার সব ধরনের জল্পনা কল্পনা আর আগ্রহের উত্তর পেয়ে যাবেন।

HDD এবং SSD কি?
HDD হচ্ছে Hard Disk Drive যা আমাদের ট্র্যাডিশনাল স্টোরেজ হিসেবে পিসিতে শুরু থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা মুলত একটা মেকানিকাল ড্রাইভ যেখানে একটা স্পিনিং ডিস্কের মধ্যে সমস্ত ডাটা বা ফাইল স্টোরড থাকে। এর মধ্যে থাকে একটা মেকানিকাল আর্ম, যা আপনার ডাটাকে রীড এবং রাইট করে।

হার্ডডিস্কের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৯৫৬ সালে আই বি এম এর হাত ধরে। প্রায় ৬৬ বছর ধরে এখন ও এই ড্রাইভ মানুষকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। যদি ও সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন এসেছে এর টেকনোলজিতে।

অন্যদিকে SSD হচ্ছে Solid State Drive যা ১৯৯১ সালে সামনে আসে সানডিস্কের হাত ধরে। আমরা আমাদের ফোনে সবাইই মেমোরি কার্ড ইউজ করে থাকি। একটা সলিড স্টেড ড্রাইভ বা এই মেমোরি কার্ডের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে।

এর মধ্যে হার্ডডিস্কের মত কোন স্পিনিং ডিস্ক থাকে না, থাকে শুধু মাত্র একটা মেমোরি চিপ এবং ওখানেই স্টোরড থাকে সমস্ত ডাটা। এটা হার্ড ডিস্কের চেয়ে অনেক এডভান্সড একটা টেকনোলজি এই ডাটা স্টোরেজের দুনিয়ায়।

এর মধ্যে এমন কিছু সার্কিট ইন্টিগ্রেড করা থাকে এবং ফ্লাশ মেমোরি থাকে, এবং এটা মুলত সেকেন্ডারি স্টোরেজ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এখন দিন দিননানা সুবিধার কারনে এটার ব্যবহার বেড়েই চলেছে, বিশেষ করে গেমার এবং ভিডিও এডিটরদের মধ্যে।

নিচে আমরা কিছু ফ্যাক্টর নিয়ে এই দুই প্রকারের ড্রাইভের মধ্যকার পার্থক্য আপনাদের বুঝানোর চেষ্টা করবো।

স্পীডঃ hdd vs ssd
স্পীডের কথা বলতে গেলে আগে দেখে নিই এই দুইটা ড্রাইভ কে কত দ্রুত ডাটা রীড এন্ড রাইট করতে পারেঃ

• হার্ডডিস্কঃ ৮০-১৫০ মেগাবাইট/সেকেন্ড
• এসএসডিঃ ২০০-৫০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড

ক্ষেত্র বিশেষে দেখা গিয়ে থাকে ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক গুলো এর চেয়ে আরো স্লো ও হয়ে থাকে, কারন ওখানে অনেক প্রসেসেই হার্ডডিস্কের উপর অতিরিক্ত প্রেশার পরে।

আবার এসএসডিতে ও স্পীডে কম বেশী হতে পারে, কিন্তু এর ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং ডাটা প্রসেসিং এইচডিডি থেকে অনেক ফাস্ট।

এর ফলে, যারা ভারি কাজ করেন, তাদের জন্য SSD একদম আদর্শ একটা স্টোরেজ। আমরা আমাদের কিছু টেস্টে দেখেছি, একটা পিসির উইন্ডোজ যদি SSD কার্ডে বুট করা হয়, তখন ওই পিসির অন অফ হওয়ার যে স্পীড সেটা বহুগুনে বেড়ে যায়। একই সাথে অন্যান্য প্রোগ্রাম ও খুবই দ্রুত কাজ করে।

এজন্য প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং, গেমিং এক্সপেরিয়েন্সের জন্য অবশ্যই HDD এর বদলে বড় আকারের SSD ব্যবহার করা বাঞ্চনীয়।

দামঃ HDD vs SSD
দামের তুলনা করলে Price Per GB তে SSD, HDD থেকে অনেক বেশী এক্সপেন্সিভ। বিশেষ করে আপনি যখন একটা বড় স্টোরেজ নিতে চাইবেন ১টিবি বা এর বেশী, তখন আপনি SSD নিতে চাইলে আপনাকে অনেক বড় পরিমান বাজেট রাখতে হবে শুধু স্টোরেজের জন্য। আবার অন্য দিকে HDD এর দাম খুবই কম আর সেটা সহজলভ্য।

এক্ষেত্রে আমাদের সাজেশন হচ্ছেঃ একটা ২০০-৫০০ জিবির এসএসডি কার্ড এবং এর সাথে ইচ্ছে মত একটা HDD ব্যবহার করতে পারেন। আপনার উইন্ডোজ সহ যাবতীয় প্রোগ্রাম SSD তে ইনস্টল করতে পারবেন এবং HDD কে ইউজ করতে পারবেন ফাইল স্টোরেজ হিসেবে।

এতে করে আপনি স্টোরেজ ও পাবেন আবার স্পীড ও পাবেন।

কিন্তু শুধু SSD নিলে আপনার বাজেটে সমস্যা হবে আর শুধু HDD নিলে স্পীডে সমস্যা হবে। সে জন্য দুইটার কম্বিনেশন নেওয়াটাই বেটার হবে।

আবার কেউ যদি স্পীডকে স্যাক্রিফাইস করতে চান, তাহলে নিজে পারেন শুধু HDD কিংবা যদি বাজেট অনেক হাই থাকে তাহলে নিতে পারেন শুধু SSD

এটা যার যার নিজস্ব প্রিফারেন্স এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করতেছে।

স্টোরেজ ক্যাপাসিটিঃ HDD vs SSD
SSD’র চেয়ে HDD’র স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক বেশী। আপনি অনেক অল্প খরচে হার্ড ডিস্কে অনেক বেশী ডাটা স্টোর করতে পারেন। ওই পরিমান ডাটা SSD তে স্টোর করতে গেলে আপনাকে অনেক বড় একটা বাজেট হিসেবে রাখতে হবে।

SSD’র অনেক হাই ডাটা ক্যাপাসিটি ওয়ালা ড্রাইভ থাকলে ও সেসব সাধারণ পিসি বিল্ডারদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

পাওয়ার ইফিশিয়েন্সিঃ HDD vs SSD
HDD’র চেয়ে SSD তে অনেক কম পাওয়ার লাগে। কারন SSD তে কোন স্পিনিং ডিস্ক থাকে না। HDD তে অনেক বেশী কমপ্লেক্স টেকনোলজির কারনে সেটা পাওয়ার ইফিশিয়েন্ট নাহ।

অপর দিকে, SSD শুধু মাত্র একটা ফ্লাশ মেমোরি, সেজন্য এটা খুবই পাওয়ার ইফিশিয়েন্ট।

বাজে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কারনে SSD’র চেয়ে দ্রুত HDD নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে এখন আপনার হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করলে বা কোন ও ভাবে ফাইল মিসিং হলে আমাদের সার্ভিস ইউজ করে হার্ডডিস্কের ডাটা রিকভার করে নিতে পারবেন।

তো পাওয়ার ইফিশিয়েন্সি তে উইনার হচ্ছেঃ এসএসডি কার্ড

এগুলোই হচ্ছে মুলত HDD এবং SSD এর মধ্যেকার পার্থক্য। দুইটারই ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। তবে এডভান্স টেক এর বিবেচনায় SSD ই এখনের জন্য সবচেয়ে রিলায়েবল এবং ফাস্ট ডাটা স্টোরেজ। কিন্তু আপনি আপনার প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে, দুটোর মধ্যে যেকোন একটা সিলেক্ট করে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র: >>>>>>> Data Recovery Station >>>>>

Friday, January 31, 2025

সার্ভেও কমিউনিটিতে যোগ দিন এবং ঘরে বাড়তি ইনকাম করুন (JOIN THE Surveoo COMMUNITY and earn extra income at home.)

আপনি কি ঘরে বসে বাড়তি ইনকাম করতে চান ?
তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য.....
Do you want to earn extra income from home?
Then this post is for you.....



সার্ভেও কমিউনিটিতে যোগ দিন এবং ঘরে বাড়তি ইনকাম করুন
(JOIN THE Surveoo COMMUNITY and earn extra income at home.)

জয়েন এর জন্য নীচে ক্লিক করুন >>>>