Wednesday, September 25, 2019

ওসামা বিন লাদেন কীভাবে জঙ্গি হয়েছিলেন



ওসামা বিন লাদেনকে নিশ্চয়ই কেও ভুলে যাননি। তিনি সারা বিশ্বের মানুষের অতি পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলার পর আরও বেশি পরিচিতি বাড়ে বিন লাদেনের। এবার লাদেনের মা জানালেন কীভাবে জঙ্গি হয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন।

সামা বিন মুহাম্মদ বিন আওয়াদ বিন লাদেন সৌদী আরবে জন্মগ্রহণকারী একজন মুসলিম সংগ্রামী যোদ্ধা যাকে আল কায়েদা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বা যাকে আখ্যায়িত করা হয় একজন সন্ত্রাসী হিসেবে। সাধারণত তিনি ওসামা বিন লাদেন বা উসামা বিন লাদেন নামেই অধিক পরিচিত।

বিন লাদেন বিশেষভাবে পরিচিত পান ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার জন্য। অন্য কয়েকজন ইসলামী জঙ্গীর সঙ্গে মিলে ওসামা বিন লাদেন দুইটি ফতোয়া জারি করেন; একটি ১৯৯৬ সালে, অপরটি ১৯৯৯ সালে । তার ফতোয়াটি ছিল, ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উচিত মার্কিন সামরিক এবং বেসামরিক জনগণকে হত্যা করা, যতোক্ষণ না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি সব সহায়তা বন্ধ করে এবং সব মুসলিম দেশ হতে সামরিক শক্তি অপসারণ করে।

ওসামা বিন লাদেন মার্কিন নেভি সিলের সদস্যদের হাতে নিহত হওয়ার অনেক বছর পর তারই মা আলিয়া ঘানেম প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমে ছেলেকে নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তার মা লাদেন সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা তথ্য দিয়েছেন।

বিন লাদেনের মায়ের দেওয়া বর্ণনায় উঠে এসেছে সিরিয়ায় কাটানো শৈশব হতে শুরু করে আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার মুজাহিদ জীবন সম্পর্কে নানা তথ্য। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদক তুলে এনেছেন সৌদি আরবের যে আর্থসামাজিক এবং ধর্মীয় পরিস্থিতির মধ্যে কিভাবে ওসামা বিন লাদেন উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন।

ওসামার মা আলিয়া ঘানেম ১৯৫০ দশকের মাঝামাঝি সময় সৌদি আরবে আসেন। ১৯৫৭ সালে রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন ওসামা বিন লাদেন। তিন বছর পর ওসামার বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তার।

পরে সবে যাত্রা শুরু করা বিন লাদেন সাম্রাজ্যের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল-আত্তাসকে বিয়ে করেন আলিয়া ঘানেম। ওসামার বাবা ৫৪ জন সন্তানের জনক হন। তার অন্ততপক্ষে ১১ জন স্ত্রী ছিলেন।

ওসামার মা আরও জানিয়েছেন, সে যাদের সঙ্গে মিশেছিল তাদের একজন ছিল মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্যতম সদস্য আবদুল্লাহ আজ্জাম। পরে ওই ব্যক্তিকে সৌদি আরব হতে নির্বাসিত করা হয়। তবে ততোদিনে সে ওসামার আধ্যাত্মিক পরামর্শকে পরিণত হয়েছে। ১৯৮০ দশকের শুরুতে ওসামা আফগানিস্তানে পাড়ি জমান রাশিয়ার দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। ওসামা জঙ্গি হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা করেছিলেন কখনও? এই প্রশ্নের জবাবে আলিয়া বলেন, আমার মাথায় এটা কখনই আসেনি।

যখন বুঝতে পারলেন ওসামা জঙ্গি হয়ে উঠেছিলেন তখন অনুভূতি কেমন ছিল জানতে চাইলে আলিয়া বলেন, আমরা খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। লাদেনের মা আরও জানান, ১৯৯৯ সালে পরিবারের লোকজন ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎ করেছিল। ওই বছর কান্দাহারের কাছে একটি ঘাঁটিতে পরিবারের সদস্যরা দুইবার সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে ওসামার সত্ভাই আহমেদ বলেছেন, ওসামার জঙ্গি জীবনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না তার মা। ৯/১১ হামলার এতো বছর পার হলেও হামলায় ওসামা জড়িত, তা এখনও মেনে নিতে পারেননি তার মা। আহমেদ বলেন, মা তাকে (ওসামাকে) খুব ভালোবাসতেন এবং তাকে কোনোভাবেই দায়ী করতে চান না। তিনি পরিস্থিতিকেই দায়ি করতে চান। তিনি শুধুই ছেলের ভালো দিক সম্পর্কেই জানেন। আর আমরা সবদিক দেখেছি। তবে তিনি তার জিহাদি দিক সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

নিউইয়র্ক হতে প্রথম যখন হামলার খবর শুনেছিলেন ওই সময়ের কথা জানিয়ে আহমেদ বলেছেন, আমি তখন খুব আঘাত পাই, আমি স্তব্ধ হয়ে যায়। আমার খুব অদ্ভুত ধরনের অনুভূতি ছিল। আমরা শুরু থেকে, অর্থাৎ প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জানতাম (হামলায় ওসামা বিন জড়িত)। তাই ছোট হতে বড় আমরা সবাই লজ্জিত ছিলাম। আমরা সবাই জানতাম আমাদেরকে বড় ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যেতে হবে। সব দেশ থেকে পরিবারের সদস্যরা সৌদি আরবেই চলে এলো।

Tuesday, September 24, 2019

নালিশ করতে থানায় হাজির একদল হনুমান!




সত্যিই হনুমানের দল নাকি থানায় এসেছে নালিশ করার জন্য! এও কি সম্ভব? কিন্তু ঘটনাটি আসলেও সত্যি। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে আমাদের দেশেই যশোরের কেশবপুর থানায়!

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, মারধরের নাশিল করতেই নাকি থানায় চলে আসে হনুমানের একটি দল। বাচ্চা কোলে নিয়ে একদল কালো মুখ হনুমান যশোরের কেশবপুর থানায় অবস্থান নেয়। গত রববিার দুপুরে ঘটে এমন একটি ঘটনা। যশোরের কেশবপুরে বিরল প্রজাতির কালো মুখ হনুমানের দল থানার প্রধান ফটকে অবস্থান গ্রহণ করে। এই সময় পুলিশ সদস্যরা হনুমানদের খাবার পরিবেশন করে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। 

এই হনুমানের দলটি এক পর্যায়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষেও ঢুকে পড়ে। থানা চত্বরে এবং অফিস কক্ষে তাদের লাফ-ঝাঁপে পুলিশ সদস্যরা অনেকটা হতচকিত হয়ে পড়েন। পরে তাদের অতি যত্নে খাবার খাইয়ে শান্ত করার চেষ্টাও করা হয়। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘একটি মা হনুমান কোলে বাচ্চা নিয়ে প্রথমে থানায় হাজির হয়। ওই বাচ্চাটিকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তারপর পরই প্রায় ২০ হতে ২৫টি হনুমান দলবদ্ধভাবে থানার প্রধান ফটকের সামনে এবং ডিউটি অফিসারের কক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। কিছু শুকনো খাবার দিলে ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর হনুমানের দল আবার চলে যায়’। 

হামলাকারীদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখবেন বলেও হনুমানদের আশ্বস্ত করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এর কিছুক্ষণ পরেই তারা থানা এলাকা ত্যাগ করেন। 

কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম হোসেন জানিয়েছেন, শহর এবং এর আশেপাশের এলাকাতে ৫ শতাধিক হনুমান রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৩৫ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম এবং ২ কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়ে থাকে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম। খাবার না পেয়ে হনুমান মানুষের বসতবাড়ি এবং অফিসেও অনেক সময় ঢুকে পড়ে। তাছাড়া হনুমান হলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রাণী। তাদের উপর কেও হামলা করলে তারা দলবদ্ধভাবে এভাবেই প্রতিবাদ জানায়। হয়তো এই ক্ষেত্রেও এমন কিছু ঘটেছে। তাদের উপর নিশ্চয়ই কোনো হামলা হয়েছে যে কারণে তারা থানায় এসে হাজির হয়েছে। ইতিপূর্বে এই রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেখ করেন ওই বন কর্মকর্তা।

Saturday, September 14, 2019

সিলেটের দর্শনীয় স্থান


চাদঁনী ঘাটের সিড়িঁ/ আলী আমজাদের ঘড়ি/ বন্ধু বাবুর দাড়ি/ আর জিতু মিয়ার বাড়ি সিলেটের পরিচিতিতে বহুল প্রচলিত এমন লোকগাঁথা। সিলেট নগরীর শেখঘাটে কাজীর বাজারের দক্ষিণ সড়কের ধারে ১ দশমিক ৩৬৫ একর ভুমি জুড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জিতু মিয়ার বাড়ি। চুন সুরকি দিয়ে নির্মিত মুসলিম স্থাপত্য কলার অনন্য নিদর্শন এ দালানটি নির্মাণ খান বাহাদুর আবু নছর মোহাম্মদ এহিয়া ওরফে জিতু মিয়া। 

১৯৯১ সালে এ বাড়ির সামনের দালানটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমান কাজিরবাজার গরুর হাট ছিল কাজিদের মূল বাড়ি। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে বাড়িটি লন্ডভন্ড হয়ে গেলে বর্তমানে জায়গায় বাড়িটি স্থানান্তরিত হয়। খাঁন বাহাদুর জিতু মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছিলেন তার চাচা মাওলানা আব্দুল রহমানের মেয়ে সারা খাতুন। সারা খাতুনের অকাল মৃত্যুতে ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা রসুল বক্সের মেয়েকে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ স্ত্রীও অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের ঘরে কোনো সন্তান সন্তনি ছিল না। তবে পরবর্তীতে জিতু মিয়ার ৫টি বিয়ে করেছিলেন বলে জানা যায়।

Wednesday, September 4, 2019

Online Calculators & Tools

Online Calculators & Tools
RapidTables.com contains quick reference information
and tools.
 Online Calculators & Tools

Go now >>>>>